সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মোটরসাইকেল রেজিট্রেশন

রেজিস্ট্রেশন ক্যাটাগরি
বাংলাদেশে মোটসাইকেল রেজিস্টেশন ঝামেলাপূর্ণ এবং কষ্টসাধ্য একটি কাজ। এই পদ্ধতিতে দিনের পর দিন সময় লেগে যায় এবং কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য (বি আর টি এ) এর বিভিন্ন মহলে অনেক বেগ পেতে হয় ।বাংলাদেশের সড়কে ৫০ সিসি থেকে ১৫০ সিসি‘র মোটর সাইকেল চলাচলের অনুমতি আছে।মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন দুই ধরণের হয়ে থাকে।

১।১০ বছর মেয়াদি রেজিস্ট্রেশন এর ক্ষেত্রে বিআরটিএর তথ্য মতে ৫০ এবং ৮০ সিসির মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি ১৩ হাজার ৯১৩ টাকা। ১০০ সিসির মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি ১৯ হাজার ৬৬৩ টাকা। এবং ১৫০ সিসির মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি ২১ হাজার ২৭৩ টাকা।

২। ২ বছর মেয়াদি রেজিস্ট্রেশন এর ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৮০ সিসি মোটরসাইকেল এর ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন ফি ৯ হাজার ৩১৩ টাকা । ১০০ সিসি মোটরসাইকেল এর ক্ষেত্রে ১০ হাজার ৪৬৩ টাকা এবং ১০১ সিসি থেকে ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল এর ক্ষেত্রে ১২ হাজার ০৭৩ টাকা।

রেজিস্ট্রেশন করণ প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন এর ক্ষেত্রে প্রথমে (বি আর টি এর ) এর নির্ধারিত ফরম সংগ্রহ করে তা যথাযথভাবে পূরন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযোজন করতে হবে। তারপর (বি আর টি এ) কতৃপক্ষ সেই আবেদন পত্র গুলো যাচাই বাছাই করে সঠিকতা ও সত্যতা যাচাই করবে। যাচাই বাছাই এর পর আবেদন পত্র গৃহীত হলে তারা রেজিট্রেশন এর জন্য প্রয়োজনীয় ফি জমাদান করতে হবে এবং একটি এ্যাসেসমেন্ট স্লিপ প্রদান করা হবে। ফি জমা প্রদানের পর গাড়িটি পরিদর্শনেরর জন্য বিআরটিএ অফিসে হাজির করতে হবে। গাড়িটি হাজির করার পর বিআরটিএ ইনফরমেশন সিস্টেমে এন্টি করার পর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) কর্তৃক রেজিস্টেশনের অনুমোদন প্রদান করা হবে এবং রেজিস্টেশন নম্বর উল্লেখপূর্বক প্রাপ্তিস্বীকার পত্র, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও ট্যাক্স টোকেন প্রিন্ট করে সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর সহ গ্রাহককে প্রদান করা হবে। রেজিস্ট্রেশন তৈরী হওয়ার ৭ থেকে ১৫ দেনের মধ্যে ডিজিটাল রেজিস্ট্রশন সার্টিফিকেট (ডি আর সি) তৈরি করার জন্য গ্রাহককে বায়োমেট্রিক্স ( ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) প্রদানের জন্য গ্রাহক কে ( বি আর টি এ ) এর অফিসে উপস্থিত হতে হবে। ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন ও বায়োমেট্রিক্স নেওয়ার পর গ্রাহককে তার মোবাইল ফোনে এস এম এস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয় ।

রেজিস্ট্রেশন এর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য
১।। মালিক ও আমদানিকারক/ডিলার কর্তৃক যথাযথভাবে পূরণ ও স্বাক্ষর করা নির্ধারিত আবেদনপত্র
২।সদ্য তোলা দুই কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি।
৩।এন্ট্রি বিল, ইনভয়েস বিল,এল সি এ কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
৪।আমদানিকারক/বিক্রেতা প্রদত্ত সেল সার্টিফিকেট /সেল ইন্টিমেশন/বিক্রয় প্রমাণপত্র
৫। প্যাকিং লিস্ট, ডেলিভারী চালান, এবং গেইট পাস।
৬। ভ্যাট প্রদানের রসিদ ও বডি ভ্যাট চালান (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
৭। রেজিস্ট্রেশন ফি জমাদানের প্রযোজ্য রসিদ
৮। বিদেশি নাগরিকের নামে রেজিস্ট্রেশন/মালিকানা বদলি হলে বাংলাদেশের ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসার মেয়াদের কপি।
৯। কাস্টমস অফিস দ্বারা সত্যায়িত প্রয়োজনীয় ভ্যাট প্রদানের রসিদ।
১০। প্রস্তুতকারক অথবা (বি আর টি এ)কর্তৃক অনুমোদিত বডি নকশা এবং সিট ধারণ ক্ষমতার একটি সম্বলিত একটি ড্রইং। ( সকল যানবাহনের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য)
১১। নিজ বাক্তিমালিকানাধীন এর ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট / ডিজিটাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদির যে কোন ক্ষেত্রে সত্যায়িত করা ফটোকপি। যদি মালিক প্রতিষ্ঠান হয় সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একটি চিঠি।
১২।নিলামে ক্রয়কৃত সরকারি/আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ির ক্ষেত্রে নিলাম সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং মেরামতের বিস্তারিত বিবরণ।
১৩। যে কোম্পানি থেকে মটর সাইকেল টি ক্রয় করেছেন সেই কোম্পানি থেকে সংগৃহীত কাগজ পত্র এবং সে সকল কাগজ সমূহ (বি আর টি এ) এর পরিদর্শক দ্বারা পরিদর্শন প্রতিবেদন।
১৪। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এর ছাড়পত্র ( প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
১৫। ১২৫ থেকে ১৫৫ সিসি মোটরসাইকেল এর ক্ষেত্রে ৫০ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা ((অঙ্গীকারনামার নমুনা ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে)

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রশন এর ক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত বিষয় সমূহ খুব গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন আপনার মোটরসাইকল কে সুরক্ষা করবে এবং আপনি আইনের শর্ত লঙ্ঘন না করেই অনায়াসে মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন।

সোমবার, ৯ জুলাই, ২০১৮

অন্যের ফেইসবোক থেকে নাম্বার কালেক্ট

  • ফেইসবোক ইউজ করার কথা বলে গফের কাছ থেকে মোবাইল টা নিন.
  • আপনার আইডি দিয়ে ফেসবুকে লগইন করুন.
  • Friends এ ক্লিক করুন. (চিত্রের মত)

  • Contacts এ যান। এবং Get Started এ ক্লিক করুন. (চিত্রের মত)

  • কন্ট্রাক্টগুলো কিছুক্ষন সময় নিয়ে Sync হবে. (চিত্রের মত)

  • ব্যাস! এবার তার মোবাইল তাকে দিয়ে দেন.
এবার বাসায় গিয়ে রিলেক্স মুডে আপনার মোবাইল দিয়ে ফেইসবোক আর্কাইভ গুলা ডাউনলোড করে নিন। এবং Extract করুন। ওখানেই পেয়ে যাবেন বন্ধুর কন্ট্রাক্ট এর সমস্ত নাম্বার.

সোমবার, ২ এপ্রিল, ২০১৮

চুরি হয়ে যাওয়া মোবাইল নিজেই জানাবে চোরের মোবাইল নাম্বার ও অবস্থান

শখের মোবাইলটি হারিয়ে গেছে , খুব কষ্টে আছেন? হঠাৎ করেই চোরের নাম্বারটি তার অবস্থান সহ আপনার হাতে  এসে পড়ল। বীর দর্পে সেই নাম্বারে ফোন করে ভাব জমিয়ে চোরকে চায়ের দাওয়াত দিয়ে এলাকায় এনে ফেললেন।
অথবা প্রথমেই নাম্বার পুলিশকে দিয়ে দিলেন , আইনী সহায়তায় ফিরে পেলেন হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিবহুল আদরের সেই ফোনটি ।  কেমন হবে বলুন তো ব্যাপারটা ।
হয়ত  কথা গুলো শুনে কেও খুব খুশি আবার কেও খুবই রেগে গেছেন।
নো চিন্তা ডু ফুর্তি ,  এখনই  বলব  এন্ড্রয়েডের সেই উপকারী এপস এর কথা। যেটি আপনার মোবাইলে কোন সিম ব্যাবহার হচ্ছে তা আপনাকে জানিয়ে দিবে।
এপসটির নাম হচ্ছে  Sim Card Change notifier . প্লে স্টোর থেকে ফ্রীতেই ডাউনলোড করতে পারবেন গেমটি ।   এই হচ্ছে এপস এর লিংক Sim Card Changer Notifier
এপস টি ইন্সটল করার পর এপসটি দেখবেন আর খুজে পাচ্ছেন না।  এটি ইন্সটলের সাথে সাথেই হাইড হয়ে যায়। ডিফল্ট এপ হিসেবে সেট করলে চোর সাহেব নিজেও এপস রিমোভ করতে পারবে না।
ইন্সটলের পর প্লে স্টোরে আবার এপসটির নাম লিখে সার্চ করুন সেখান থেকে ওপেন করতে পারবেন। অথবা মোবাইলের কী প্যাডে ##7777 ডায়াল করুন।

এই রকম একটি স্ক্রীন আসবে । সেখানে Owner name এর জায়গায়  নিজের নাম লেখুন  এবং  Trusted Number এ সেই নাম্বারটি দিবেন  যেখানে আপনি ম্যাসেজ পেতে চান । অর্থাৎ ট্রাস্টেড নাম্বারেই আপনার ম্যাসেজ চলে যাবে ।

এবার ছবিতে দেয়া লাল মার্ক করা অংশে প্রেস করে সেটিংস  এ যান  , ২ নং অপশনের Number to show the app সিলেক্ট করুন ।  পছন্দমত ৬ ডিজিট এর নাম্বার দিন , যদিও এপস এ আগে থেকেই  ##7777  নাম্বারটি সেট করা থাকে। তাই এটিও রাখতে পারেন।
এবার তার নীচের লোকেশন সেন্ডিং টাইম ইন্টারভ্যাল সেট করে ফেলুন।
ব্যাস আপনাদের এপস কাজ করার জন্য রেডি। এখন থেকে যখন ই কোন নতুন সীম প্রবেশ করানো হবে, সাথে সাথে তার বর্তমান অবস্থান এবং মোবাইল নাম্বার সহ চলে আসবে আপনার কাছে।

মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি ক্যালকুলেটর

রবিবার, ১১ মার্চ, ২০১৮

কানেকটেড থাকা ওয়াই-ফাই এর পাসওয়ার্ড দেখুন আপনার ফোনের মাধ্যমেই

আমাদের আশেপাশে অনেক ওয়াই-ফাই আছে কিন্তু আমরা  চেষ্টা করি সেগুলো পাসওয়ার্ড বের করার, কিন্তু সফলতা খুব আসে না। যার রাউটার তাকে বলে কয়ে কিছু সময়ের জন্য তার কাছ থেকে পাসওয়ার্ড নিয়ে একটু ডাউনলোড আপলোড অথবা ব্রাউজিং করতে হয়। এতে করে কিছুটা সময় তার কাছে থেকে চালানো যায়, কিন্তু প্রতিদিন সে কানেক্ট করে দেবে না। কারণ, আপনি বিপদেআপদে দুই একদিন চালাতে পারেন তাই বলে প্রতিদিন এর জন্য আপনাকে চালাতে দেবে না।
প্রতিদিন চালাতে হলে আপনাকে সেই রাউটার এর পাসওয়ার্ড জেনে নিতে হবে অথবা "হ্যাক" করতে হবে।
হ্যাক করতে হলে আপনাকে রুটেড ডিভাই দ্বারা বিসি মুন অ্যাপস এবং রাফা ইউজ করে ডিক্সনারি Attack দিতে হবে। এটা নিয়ে পরে টিউন করবো বিস্তারিত ভাবে।
তাহলে আপনি কিভাবে তার পাসওয়ার্ডটা নেবেন?
তো চলুন স্টেপ ফলো করা যাক, প্রথমে আপনাকে প্লে স্টোর থেকে Wifi Key Recovery ডাউনলোড করতে হবে।
এর পর রুট পার্মিশন দিয়ে রাখুন
তারপর যার নেটওয়ার্ক এ আপনি চালান সেটাতে পাসওয়ার্ড দিতে বলুন,
সে পাসওয়ার্ড দিলে আপনি তখন তার কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে চালাতে থাকুন, তার কাছে থেকে আপনি যখন বাসায় চলে আসবেন তখন আপনি আপনার ফোনে অ্যাপসে ঢুকুন এবং যে নেটওয়ার্ক আপনি চালালেন সেটার নামে উপর চাপ দিন দেখুন লেখা আসবে কপি টু ক্লিপবোর্ড, কপি করুন, এবং নোটে সেভ করুন।
এর পর আপনি নেটওয়ার্ক এর আওতায় গেলে পাসওয়ার্ড বসিয়ে কানেক্ট করুন, ব্যাস হয়ে গেলো।

বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৮

আপনার অনুমতি ছাড়া কেউ ইউএসবি দিয়ে কম্পিউটার থেকে কিছু কপি করতে পারবে না

আপনি আপনার কম্পিউটারের/ল্যাপটপের ইউএসবি লক করে রাখতে পারবেন। তাও আবার কোন ধরনের সফটওয়্যার ছাড়াই। নিজস্ব কম্পিউটারের প্রাইভেসির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কারণ আপনার কম্পিউটারের পার্সোনাল ফাইল আপনার অনুমতি ব্যতীত অন্য কেউ কপি করে নিয়ে গেলে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে তা একমাত্র আপনি-ই উপলব্ধি করতে পারবেন।
এই ট্রিক্সটির মাধ্যমে আপনি আপনি আপনার কম্পিউটারের ইউএসপি পোর্ট লক করে রাখতে পারবেন। যার ফলে আপনার কম্পিউটারে কোন ইউএসবি ড্রাইভ লাগালে এটি শুধুমাত্র রিড অনলি মোডে চালু হবে। অর্থ্যাৎ উক্ত পেনড্রাইভ/মেমেরি কার্ডে শুধুমাত্র ফাইলগুলো দেখা যাবে কিন্তু কোন কিছু কপি করা যাবে না। অর্থ্যাৎ কেউ আপনার অনুপস্থিতে আপনার ব্যক্তিগত ফাইল কপি করতে পারবে না।
কিভাবে এটি কাজ করে?
এটি মাইক্রোসফট এর রেজিষ্ট্রি এডিট করার মাধ্যমে করা হয়। কিন্তু আপনাকে কোন কোড ব্যবহার করে রেজিষ্ট্রি এডিট করা লাগবে না। আমি আপনাদের সুবিধার জন্য ইতোমধ্যে দুইটি ফাইল তৈরি করে রেখেছি। চলুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে কাজ করবে।
প্রথমে আমার দেওয়া ফাইল দুটি ডাউনলোড করুন।
ফোল্ডারটি অপেন করার জন্য আপনি দুইটি ফাইল দেখতে পারবেন। একটি নাম Disable USB Write এবং অপরটির নাম Enable USB Write। নিচের চিত্র লক্ষ্য করুন:
এখন Disable USB Write এ ক্লিক করে মার্জ করে দিন। এখন আপনার কম্পিউটারের কোন পেনড্রাইভ/মেমোরি লাগালে তা শুধুমাত্র দেখা যাবে। কিন্তু তার মধ্যে কোন ফাইল কপি করা যাবে না। এতে আপনার প্রাইভেসি রক্ষা হবে।
আবার যখন আপনার ইউএসবি তে কপি করার  প্রয়োজন হবে তখন Enable USB Write এ ক্লিক করুন। দেখবেন এখন আপনার কমিপউটারে কোন পেনড্রাইভ/মেমোরি কার্ড লাগালে তার মধ্যে ডেটা কপি করতে পারবেন।
আপনি যখন আপনার কম্পিউটার রেখে কোথায় যাবেন, জাষ্ট Disable USB Write ফাইলটি ক্লিক করে মার্জ করে দিন। আর অবশ্যই ফাইল দুটোকে কোন নিরাপদ ড্রাইভে রেখে দিবেন।