শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭

হারিয়ে যাওয়া ফোন খুঁজে বের করুন গুগলের সাহায্যে

স্মার্টফোন চুরি ঠেকাতে গুগল চালু করেছে এক অভিনব নতুন ডিভাইস ট্র্যাকিং সিস্টেম এর। আপনারা অনেকে এই ব্যাপারে আগেই জেনেছেন। মুলত এই সিস্টেম এর মাদ্ধমে আপনি আপনার হারিয়ে যাওয়া এন্ড্রয়েড ডিভাইস টি অতি সহজে খুজে পাবেন এবং ডিভাইস টি কোথায় আছে তা অনলাইন এ রিয়েল টাইম লোকেশন দেখতে পারবেন।



এছারাও ডিভাইস এ থাকা সকল ডাটা মুছে দেয়া, ডিভাইস লক করা ও এলার্ম বাজাতে পারবেন আপনার হারিয়ে যাওয়া ডিভাইস এ । এক কথায় আপনার হারিয়ে যাওয়া ডিভাইস টি ফিরে পাবেনই এই গুগল এর নতুন সিস্টেম এর মাদ্ধমে ।
প্রথমেই আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনি আপনার ডিভাইসের জন্য ডিভাইস ম্যানেজার 

> কিভাবে গুগল ফোন ট্র্যাকিং অন করবেন ?

১) প্রথমে আপনার ডিভাইসের অ্যাপ ড্রয়ারে থাকা Google Settings এ যান।
২) এখন Google Settings এর লিস্টে আপনি Android Device Manager অপশন পাবেন। অপশনটি সিলেক্ট করুন।
৩) এবার আপনি নিচের ছবির মত আরো দুটি অপশন পাবেন। Locate this device remotely এবং Allow remote lock and data factory reset. সাধারনত দ্বিতীয় অপশনটি আনচেক করা থাকে। আপনি যদি দ্বিতীয় অপশনটি অন/চেক করে দেন তাহলে আপনার ডিভাইস হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলে আপনি ডিভাইস ম্যানেজারের সাহায্যে ডিভাইসের সব ডাটা মুছে দিতে পারবেন এবং ডিভাইসটি লক ও করে দিতে পারবেন।
৪) এখন কোন কারণে যদি আপনি আপনার অ্যাপ ড্রয়ারে Google Settings খুজে না পান তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনি ডিভাইস ম্যানেজার আপনার ডিভাইসের Security সেটিংস্‌ এ যেয়ে ও অন করতে পারবেন।
৫) Security সেটিংস্‌ এ যাওয়ার পর Device Administrators সিলেক্ট করুন। তারপর Android Device Manager অপশনটি মার্ক করে দিন।
এখন আপনার কাজ শেষ 😀 চোর ধরবেন এখন মনের সুখে.. 😀


> ডিভাইস ম্যানেজারে যদি  আপনার ডিভাইসটি না দেখায় অথবা Unknown Location দেখায় তাহলে যা করবেন-  
১) আপনার ডিভাইসের প্লে স্টোর অ্যাপ আপডেট করে নিন।
২) এবার অ্যাপ ড্রয়ার থেকে Google Settings>Android Device Manager এ যেয়ে Allow remote factory reset অপশনটি আনচেক করে দিন।
৩) এবার আপনার ডিভাইসের Settings>Apps > All > এ যেয়ে Google Play services ওপেন করেন এবং ডাটা ক্লিয়ার করে দিন।
৪) এবার পুনরায় অ্যাপ ড্রয়ার থেকে Google Settings এ যেয়ে Allow remote factory reset অপশনটি চেক করে দিন। 
৫) আপনার ডিভাইসটি রিস্টার্ট/রিবুট করুন।

মনে রাখবেন আপনার ডিভাইসটি যদি হারিয়ে যাওয়ার পর অফ থাকে তাহলে Android ডিভাইস ম্যানেজার কাজ করবে না। কিন্তু ডিভাইসটি চালু করলেই এটি কাজ করবে।

অসুবিধা - নেট কানেকশন এবং GPS অন করা না থাকলে খুঁজে বের করতে পারবেন না। গুগল ছাড়াও অন্য এপস গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার ডিভাইসকে রিমোটলি কন্ট্রোল করতে পারবেন।

বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৭

শটডাউন টাইমার ব্যাবহার করুন কোন সফটওয়্যার ছাড়া

ডেস্কটপ স্ক্রিনে মাউস এর রাইট বাটনটি ক্লিক করুন , 
সেখানে new থেকে  shortcut অপশনটি সিলেক্ট করুন ( সাধারনত ফোল্ডারের পরেই এই অপশনটি থাকে ) 

সেখানে  লেখার জন্য বক্স আসবে   নীচের কোডটি টাইপ করুন ,

SHUTDOWN -s -t 60

উপরে -s দিয়ে শাট ডাউন বোঝাচ্ছে আপনি যদি -r ব্যাবহার করেন তো রিস্টার্ট এর কাজ হবে 
সবার শেষে আমি লিখেছি ৬০ অর্থাৎ ৬০ সেকেন্ড বা ১ মিনিট পরে   এটি রান করবে ,  আপনার যত সময়পরে  কাজ করানো দরকার শুধু সময়টিকে সেকেন্ডে কনভার্ট করে নিন । 

এর পর next দিয়ে  Finish  দিন , দেখবেন আপনার ডেস্কটপে  Shutdown.exe নামে একটি আইকন তৈরী হয়েছে । সেটিতে ডাবল ক্লিক করুন।  System Shutdown নামে একটি Box আসবে 
আপনার বেধে দেয়া সময় পরে আপনার কম্পিউটার একাই বন্ধ হয়ে যাবে ।

ওয়াইফাই হটস্পট দরকার বানিয়ে নিন নিজেই

হয়তো আপনিও এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন যেখানে কেবল একজনই তাঁর ল্যাপটপে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন আর পাশের বাকি চারজন মোবাইল বা ট্যাব নিয়ে চুপচাপ ইন্টারনেট ছাড়াই বসে আছেন! অথচ একটি নেটওয়ার্ক কেবল কিংবা একটিমাত্র ডংগল থাকলেও কিন্তু শুধু একটি কম্পিউটারেই ইন্টারনেট নয়, বরং আরও বেশ কয়েকটি গেজেটেই এই ইন্টারনেট ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যায়।

বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যার সাহায্যে খুব সহজেই আপনার যন্ত্রকে ওয়াই-ফাই হটস্পট বানিয়ে ফেলতে পারেন। 

Connectify.me নামের একটি সফটওয়্যার। দুটি ভার্সন এ এই সফটওয়্যার টি পাওয়া যায়, একটি হচ্ছে লাইট এবং অপরটি হচ্ছে প্রো । তবে আমার মতে, বাসাতে ব্যবহারের জন্য লাইট ভার্সন টি বেস্ট।





 এখান থেকে প্রথমে সফটওয়্যার টিকে ডাউনলোড করে নিন



এবার ইন্সটল করে নিন আপনার ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ এ।
মনে রাখবেন, ওয়াইফাই হট স্পট বানাতে আপনার নিচের হার্ডওয়্যার গুলো থাকতে হবে। 
  1. ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ কম্পিউটার।
  2. ডেস্কটপ হলে, একটি ওয়াইফাই কার্ড (PCI অথবা USB ডংগল), আর ল্যাপটপ হলে ল্যাপটপ এর ওয়াইফাই কার্ড।
  3. ওয়াইফাই কার্ড এর আপডেট ড্রাইভার।
  4. Connectify সফটওয়্যার টি।
  5. একটি ইন্টারনেট কানেকশন।

পেনড্রাইভ,মেমরি কার্ড ফরম্যাট না হলে


১) কমান্ড প্রম্পট ব্যবহার করেঃ
এটি পেন ড্রাইভ/ মেমরি কার্ড ফরম্যাট করার সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি।
এক্ষেত্রে, যা করতে হবেঃ
প্রথমে Start থেকে Run এ গিয়ে "cmd" লেখাটি টাইপ করে এন্টার দিন।
যে উইন্ডোটি আসবে সেখানে লিখুন " Format K: "। লক্ষ্য করুন ইউএসবি ডিস্কটি K ড্রাইভ হিসেবে কাজ করছে বলে "Format K:" লেখা হয়েছে।
এন্টার দিন।
একটি উইন্ডো আসবে। এখানে "Y/N" চাইলে "Y" টাইপ করে এন্টার দিয়ে ডিস্কটি পুনরায় নরমালি ফরম্যাট দিয়ে দেখুন ফরম্যাট নিচ্ছে।


২) এনটিএফএস ফরম্যাটঃ

পেন ড্রাইভ/ মেমরি কার্ডকে সাধারনত Fat 32 ফাইল অবস্থায় ফরম্যাট করা হয়। তবে Fat 32 এ সমস্যা হলে ডিস্কটিকে NTFS এ ফরম্যাট করা যায়।
এজন্য My Computer থেকে পেন ড্রাইভ/ মেমরি কার্ড এর উপর ডান বাটন ক্লিক করে Properties> Hardware 
এ গিয়ে পেন ড্রাইভ/ মেমরি কার্ডটি নির্বাচন করতে হবে।
এরপর Properties> Policies থেকে Optimize for performance নির্বাচন করে ok
 ক্লিক করতে হবে।


৩) উইন্ডোজের ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট বা ডস ফরম্যাট ব্যবহার করেঃ

এক্ষেত্রে Start থেকে Control Panel এ গিয়ে Administrative Tools এ দুই বার ক্লিক করতে হবে। 
তারপর Computer Management এ দুই বার ক্লিক করতে হবে। এখন বাঁ পাশ থেকে Disk Management এ ক্লিক করলে ডান পাশে পেনড্রাইভ/ মেমরি কার্ডসহ সব কটি ড্রাইভের লিস্ট দেখাবে। 
সেখান থেকে পেন ড্রাইভ/ মেমরি কার্ড 
এর উপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে ফরম্যাট করলে পেনড্রাইভ ফরম্যাট হবে।

৪) সফটওয়্যার ব্যবহার করেঃ

উপরের কোন পদ্ধতিতে ইউএসবি ডিস্ক ফরম্যাট না হলে HP USB Disk Storage Format Tool 
সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এই টুল দিয়ে ইউএসবি ডিস্ককে ডস স্টার্টআপ ডিস্কও বানানো যাবে।  সফটওয়্যারটির ব্যবহার খুবই সহজ।

সাইবার জগতে সচেতনতাই হোক আপনার প্রধান অস্ত্র।
যদি আর্টিকেলটি উপকারী মনে হয়ে থাকে তাহলে সবার নিকট তথ্যগুলো ছড়িয়ে দিতে ভূলবেন না। 

মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭

কে আপনার ফেসবুক প্রোফাইল ভিজিট করছে

ফেসবুক এই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া। কম-বেশি সবাই  চেষ্টা করে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলটিকে আকর্ষণীয় 
করে তোলার । আপনার  ফেসবুক প্রোফাইল বা পোস্ট এর উপর অনেকেই নজর রাখতে পারে । কারা আপনার উপর নজর রাখছে তা  জানার কোন অপশন ফেসবুক আপনাকে দেয় না।

এই কৌতূহল মেটানো একেবারেই অসম্ভব তাও না । অতি সহজ একটি কৌশলে আপনি জেনে নিতে পারেন, কারা আপনার ফেসবুক
 প্রোফাইলের উপর নজর রাখছে। আপনি কয়েকভাবে এটি দেখতে পারেন । 

১ম পদ্ধতি ঃ 

 প্রথমে কম্পিউটার থেকে গুগল ক্রোম ব্রাউজার খুলুন। ফেসবুকে লগ ইন করুন।
তার পর ডান দিকের উপরের কোণায় যে লম্বালম্বি যে তিনটি ডট চিহ্ন থাকে সেখানে ক্লিক করুন। অনেকগুলি অপশন খুলে যাবে।
 তার মধ্যে ‘সেটিংগস’টি সিলেক্ট করুন।

বাঁ দিকে উপরের দিকে ‘এক্সটেনশন’ নামের অপশনটি সিলেক্ট করুন। 
তার পর ক্লিক করুন ‘গেট মোর এক্সটেনশনস’ অপশনটি।

সার্চ বক্সে গিয়ে সার্চ করুন ‘ফ্ল্যাটবুক’ (Flatbook). পেয়ে যাবেন ফ্ল্যাটবুক এক্সটেনশন।

এক্সটেনশনের নামটির পাশে দেখবেন ‘অ্যাড টু‌ ক্রোম’ বলে একটি অপশন রয়েছে। সেটি সিলেক্ট করুন। আপনার ক্রোম 
ব্রাউজারে অ্যাড হয়ে যাবে।

এ বার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি রিফ্রেশ করুন ।
একটু অন্য চেহারায় বা থিমে ফেসবুক পেজটি খুলে যাবে।

এই পেজেই ডান পাশের প্যানেলে ‘প্রোফাইল ভিজিটর’ বলে একটি অপশন পাবেন।

সেখানে ক্লিক করলেই আপনার কোন কোন বন্ধু আপনার প্রোফাইল ভিজিট করেছেন তাঁদের নামের লিস্ট পেয়ে যাবেন।

যদি এভাবে সাপোর্ট না করে তাহলে নীচের পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন ঃ 

১.প্রথমে যথারীতি ফেসবুকে লগ-ইন করুন।
২. কীবোর্ড থেকে Ctrl+U চাপুন
৩. কোডভর্তি পুরো একটি পেজ পাবেন যার কিছুই আপনি বুঝবেন না।  এখন  ‘কন্ট্রোল+এফ’ (F) বাটন চাপুন। দেখবেন, ওপরে ডান কোণায় একটি সার্চবক্স এসেছে। এই সার্চবক্সে ‘InitialChatFriendsList’ লিখুন।
৪. এরপর ‘InitialChatFriendsList’ এর পাশে কতগুলো নম্বরের তালিকা পাবেন। মূলত এই নম্বরগুলোই আপনার টাইমলাইনে যারা এসেছে তাদের ফেসবুক আইডি নম্বর।
৫. এখন এই নম্বরগুলো দিয়ে আইডি বের করার জন্য (ফেসবুক ডটকম) সাইটে যেতে হবে। তারপর ফেসবুক ডটকমের পাশে স্ল্যাশ (/) চিহ্ন দিয়ে যেকোনও একটি নম্বর পোস্ট দিন। যেমন- facebook.com/ 100008223225037।
 দেখবেন, একটি আইডি চলে এসেছে। অর্থাৎ এই আইডিই আপনার প্রোফাইল দেখে থাকে।