মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৭

Facebook একাউন্ট হ্যাক হলে কীভাবে উদ্ধার করবেন এবং আইনী সহযোগিতা কীভাবে পাবেন?


ফেসবুক একাউন্ট এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী। মোবাইল নম্বর কিংবা একটি ইমেইল আইডির চেয়ে ফেসবুক একাউন্ট কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে অথবা অন্যের দখলে চলে গেলে আপনার উক্ত একাউন্ট ব্যবহার করে কেউ কোন ক্রাইম করলে তার দায়ভার কিন্তু আপনার ঘারেই পড়বে। এবং আপনি পড়তে পারেন ভয়াবহ বিপদে।
ফেসবুক একাউন্ট সুরক্ষা রাখার সব ধরনের ব্যবস্থা করে রাখলেও অনেক সময় একাউন্ট হ্যাক হয়ে যায়। তাই হ্যাক হওয়া মাত্রই কী কী পদক্ষেপগুলো আপনার নেওয়া উচিত এবং কীভাবে ফেসবুক একাউন্টটি উদ্ধার করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়ার চেষ্টা করলাম।

১) প্রথমেই এই লিঙ্কে যান http://www.facebook.com/hacked

২) একটি পেজ আসবে, এখান থেকে “My account is compromised” এই বাটনে ক্লিক করুন।

৩) হ্যাক হওয়া একাউন্টটির তথ্য চাইবে এখানে। উল্লেখ করা ৩ টি অপশনের যেকোন একটির ইনফরমেশন দিন। দিয়ে ক্লিক করুন সার্চ এ ক্লিক করুন-

৪) আপনার প্রদত্ত তথ্য সঠিক হলে আপনার একাউন্টটিই দেখাবে এখানে

৫) এখন “This is My Account” এ ক্লিক করুন।

৬) ক্লিক করার পর আপনার পুরাতন পাসওয়ার্ডটি চাইবে।

এখানে আপনার পুরাতন পাসওয়ার্ড টি দিয়ে “Continue” করুন। আপনাকে একটা কনফার্মেশন মেসেজ দিবে। তার পরে কন্টিনিউ করে পরের স্টেপ গুলি পার করুন। সাধারনত পরের স্টেপে আপনার কাছ থেকে একটা নতুন পাসোয়ার্ড চাওয়া হবে। পরের ফর্মগুলো ঠিক ঠাক পূরন করলে ফেসবুক থেকে আপনার একাউন্ট আবার ফেরত পেয়ে যাবেন।

বিকল্প পদ্ধতি
যদি ফেসবুক একাউন্টের পাসওয়ার্ড হ্যাক হয় এবং মেইল একাউন্টটি ঠিক থাকে তবে এই লিঙ্ক থেকে রিকুয়েস্ট পাঠালে পাসওয়ার্ড সমাধান পাওয়া যাবে। https://ssl.facebook.com/reset.php
যদি ওপরের লিঙ্কে কাজ না হয় তবে পাসওয়ার্ডটি পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। http://www.facebook.com/help/¬identify.php?show_for-m=hack_login_changed
যদি ই-মেইল এড্রেসটি পরিবর্তন হয়ে যায় তবে নিম্নলিখিত লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। ফর্মটি পূরণ করে পাঠালে ফেসবুকের কর্মকর্তারা যোগাযোগ করবে। https://ssl.facebook.com/help/contact.php?show_form=hacked_self_recovery

আইনের সহযোগীতা নিন
ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে আপনাকে সহজেই বিপদে ফেলতে পারে হ্যাকাররা। তাই হ্যাক হওয়া একাউন্টটি যদি কোনভাবেই উদ্ধার করতে না পারেন তাহলে দেরি না করে অবশ্যই আইনের সহযোগিতা নিন। অর্থাৎ পুলিশ এবং বিটিআরসিকে জানিয়ে রাখুন যাতে পরবর্তীতে আপনার একাউন্ট ব্যবহার করে কেউ অপরাধমূলক কোন কাজ করলে আপনি বেচে যান।

আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে আপনার সামনে দুটি উপায় খোলা আছে
১) অ্যাকাউন্ট টি পুনরুদ্ধার করা ।
২) অ্যাকাউন্ট টি চিরতরে ডিলেট করে দেওয়া ।

দুটি ক্ষেত্রেই আপনাকে সহযোগিতা করবে তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয় । তারা মাত্র তিন দিনের ভেতর হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্টটি উদ্ধার করে দেবে অথবা আপনার অনুমতি সাপেক্ষে ডিলেট করে দেবে ।

অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে প্রথমেই করনীয় কাজ হল এলাকার পুলিশ ষ্টেশন এ গিয়ে জিডি করা । জিডি করার অভিজ্ঞতা না থাকলে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও আপনাকে সাহায্য করবেন । জিডি করা খুব সহজ । দায়িত্তরত পুলিশ কর্মকর্তা এর সামনে বসে আপনার সমস্যার কথা জানিয়ে একটা সাধারন ডায়েরি করবেন । জিডি করা শেষে আপনাকে জিডির একটি কপি দেওয়া হবে । এই কপিটি খুব যত্নের সাথে রেখে দিবেন ।

জিডি করা শেষে আপনার দ্বিতীয় কাজ হবে তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয় এর সাইবার নিরাপত্তা হটলাইনে ফোন করে তাদের সাথে যোগাযোগ করা । সাইবার নিরাপত্তা হটলাইনে নাম্বারঃ 01766678888 . সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা এর ভেতর যোগাযোগ করবেন । শুক্রবার বন্ধ থাকে । তারা জানতে চাইবে আপনার অ্যাকাউন্ট টি পুনরুদ্ধার করতে চান নাকি অ্যাকাউন্ট টি চিরতরে ডিলেট করে দিতে চান । আপনার সমস্যা শোনার পর তারা আপনাকে একটি ইমেইল অ্যাড্রেস দেবেন । ইমেইল অ্যাড্রেস হলঃ info@cybernirapotta.net . এই ইমেইল অ্যাড্রেস এ আপনাকে যে অ্যাটাচমেন্ট গুলো পাঠাতে বলা হবে সেগুলো হচ্ছেঃ

১) জিডির স্ক্যান করা কপি ।
২) ভোটার আইডি কার্ড এর রঙ্গিন স্ক্যান কপি ( রঙ্গিন হওয়া আবশ্যক ) ।
৩) হ্যাক হওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এর লিংক।
৪) ইতিপূর্বে কখনও কোথাও ব্যবহার করা হয় নি এমন সম্পূর্ণ নতুন খোলা একটি ইমেইল আইডি ।

সব অ্যাটাচমেন্ট সহ ইমেইল পাঠিয়ে দেওয়ার পর চাইলে আপনি আবার হটলাইনে কল করে ইমেইল পেয়েছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেন । এরপর তিন দিনের ভেতর আপনার হ্যাক হয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করে আপনাকে ফোন দিয়ে জানানো হবে ।

ফেসবুক পাসওয়ার্ড এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
অনেকেই ফেসবুক একাউন্ট এর ব্যবহৃত ইমেইলের পাসওয়ার্ড ও ফেসবুকের পাসওয়ার্ড একই রেখে থাকেন। এটি কিন্তু মারাত্বক একটি ভুল। কারণ হ্যাকাররা যখন ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে তখন দ্বিতীয় ধাপে তারা একই পাসওয়ার্ড দিয়ে ইমেইল আইডিও হ্যাক করার চেষ্টা করে। এবং কোনভাবে যদি ইমেইল আইডি হ্যাক করতে পারে তাহলে কিন্তু বড় বিপদ। এরফলে ফেসবুক একাউন্ট রিকোভারী করার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যাবে, পাশাপাশি ইমেইলটিও হারালেন যেখানে হয়তো আপনার রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

ফেসবুক আইডিতে ব্যবহার করা ই-মেইল ও ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড ভিন্ন রাখুন। কারণ হ্যাকাররা সাধারণত ফেসবুক হ্যাক করার পর ই-মেইল এড্রেস বদলে ফেলে। আর ই-মেইল এড্রেস বদলে ফেলতে পারলে হ্যাকিং হওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়া কঠিন। হ্যাকিং হওয়া অ্যাকাউন্ট উদ্ধারের একমাত্র উপায় হলো ই-মেইল এড্রেস।
অন্য কারো কম্পিউটার বা মোবাইল বা আইপ্যাডে ফেসবুক লগ ইন করলে কাজ শেষে অবশ্যই লগ আউট করতে হবে। এক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড রিমেম্বার দেওয়া যাবে না।

পাবলিক কম্পিউটারে বসলে কাজ শেষে অবশ্যই cache এবং cookies ডিলেট করতে হবে।
মেইলে আসা সফটওয়্যার সেট আপ দেওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান থাকুন। অনেক সময় এ রকম ফাইল দিয়ে তথ্য চুরির চেষ্টা করা হয়।

ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আপনার মোবাইল নম্বর দিয়ে রাখুন। এরপর account settings এর Security এর পাশে লিখা change অপশনে ক্লিক করুন। Login Notifications এর নিচে লিখা Send me a text message সিলেক্ট করুন। এতে আপনার ব্যবহৃত ডিভাইস (যেমন আপনার নিজের কম্পিউটার, মোবাইল) ছাড়া অন্য কোনো ডিভাইস থেকে লগ ইন করা হলে আপনার মোবাইলে বার্তা যাবে। এরপর Login Approvals এর নিচে লিখা Require me to enter a security code sent to my phone সিলেক্ট করুন। এতে কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার চেষ্টা করলে মোবাইল মেসেজে কোড চাওয়া হবে। এটি ছাড়া কোনভাবেই লগইন করা সম্ভব হবে না।

বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৭

কিভাবে উইন্ডোজ ১০ এর সব ফাইল এবং সফটওয়্যার ব্যাকআপ এবং রিকভারি


যারা উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করেন তাদের জন্য সুখবর কারণ উইন্ডোজ ১০ এ সিস্টেম ব্যাকআপ রাখার জন্য অনেক গুলো ফিচার বা সুবিধা আছে। আমরা সেগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই উইন্ডোজ ব্যাকআপ রাখতে পারি। উইন্ডোজ রিকভারি অপশন থেকে উইন্ডোজ রিস্টোর করা যায়। আবার পুরো কম্পিউটার কে রিসেট দেয়া যায়। এবার দেখা যাক উইন্ডোজের ভিতরে কি কি ব্যাকআপ টুল আছে?

বিল্ট-ইন উইন্ডোজ ব্যাকআপ টুলস

বেশিরভাগ সময় সাধারণ ইউজাররা উইন্ডোজের ব্যাকআপ রাখেন না। ফলে তাদের নানা সমস্যায় পরতে হয়। এই টিউনে আমি উইন্ডোজ ১০ এ ব্যাকআপ রাখার প্রায় সবগুলো পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব। তাই আশা করি পুরো টিউনটি পরবেন। আমি আগেই বলেছি উইন্ডোজে বিল্ট-ইন অবস্থায় অনেকগুলো ব্যাকআপ টুল আছে। যেগুলো আমারা ব্যবহার করব। আপনি চাইলে বিভিন্ন পেইড সফটওয়্যার ব্যবহার করে এই ব্যাকআপের কাজ গুলো করতে পারেন। তবে আপদত আমি উইন্ডোজের ফ্রী ফিচারগুলো ব্যবহার করব।

ফাইল হিস্টোরি(File History)

এই ফিচারটি সর্বপ্রথম উইন্ডোজ ৮ এ দেখা যায়। এই ফিচারটি উইন্ডোজের একটি অসাধারণ ব্যাকআপ করার পদ্ধতি। যদিও এই অপশনটি দিয়ে আপনি আপনার সিস্টেমের পুরো ব্যাকআপ রাখতে পারবেন না। তবে আপনি নির্দিষ্ট কিছু ফোল্ডারের নিয়মিত ব্যাকআপ রাখতে পারবেন। এজন্য আপনার একটি আলাদা হার্ড ডিস্ক ব্যবহার করতে হবে। উইন্ডোজ সার্চ বার থেকে File History খুঁজে নিয়ে ওপেন করুন তাহলে নিচের মত দেখতে পাবেন।

এর পর এখান থেকে “Add a drive” অপশনটিতে ক্লিক করে আপনার বাড়তি হার্ড ডিস্কটি সিলেক্ট করুন। তারপরে নিচের “More Options” এ ক্লিক করলে অনেক গুলো ফাইল এর অপশন পাবেন সেখান থেকে আপনি যে যে ফাইল গুলোকে ব্যাকআপ রাখতে চান সেগুলো রেখে বাকিগুলো ডিলিট করে দিন।
ডিফল্ট হিসেবে এই ব্যাকআপ রাখার সিস্টেমটি আপনার কম্পিউটারে গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলকে ব্যাকআপ রাখে। তবে আপনি নিজের মত করে সব পরিবর্তন করে নিতে পারবেন। আপনি যখন চান তখনই আবার যেখানে ব্যাকআপ রেখেছেন সেখান থেকে আপনার ফাইলগুলোকে আবার ফিরিয়ে আনতে পারবেন।

ব্যাকআপ এন্ড রিস্টোর(Backup and Restore)

উইন্ডোজ ১০ এ উইন্ডোজ ৭ এর একটু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার এখনো আছে। সেটি হলো উইন্ডোজ ৭ এর ব্যাকআপ করার ফিচারটি। যারা আগেই এই ফিচারটি ব্যবহার করেছেন তারা সেভাবেই এখন তা করতে পারবেন। এই ব্যাকআপ এন্ড রিস্টোর অপশন থেকে আপনি আপনার উইন্ডোজ ১০ কে ব্যাকআপ রাখতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে উইন্ডোজ কন্ট্রোল প্যানেল থেকে সার্চ দিতে হবে “Backup and Restore” তাহলেই পেয়ে যাবেন।

ব্যাকআপ এন্ড রিস্টোর অপশনটি ব্যবহার করে উইন্ডোজ ব্যাকআপ রাখা অনেক সহজ। কারণ এর জন্য আপনাকে একটি হার্ড ডিস্ক ঠিক করে দিতে হবে। তবে অবশ্যই মাথায় রাখবেন যেন আপনার উইন্ডোজ যেই হার্ড ডিস্কে ইনস্টল করা আছে সেই হার্ড ডিস্ক সিলেক্ট করবেন না। তাহলে সেই হার্ড ডিস্ক ক্রাশ হলে আপনার ব্যাকআপও তার সাথে চলে যাবে।

কিভাবে উইন্ডোজের সিস্টেম ইমেজ ব্যাকআপ রাখবেন?

সিস্টেম ইমেজ ব্যাকআপ রাখার পর আপনার উইন্ডোজ যদি কোন কারণে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে শুধু মাত্র আপনার উইন্ডোজটিকে রিস্টোর করে নিলেই হবে। এবং এই ব্যাকআপে আপনার সব সফটওয়্যার যেভাবে আপনি যেভাবে ইনস্টল করেছিলেন ঠিক সেভাবেই পাবেন। তাই আমার এই টুল অনেক বেশি পছন্দের। অনেক সুবিধা থাকলেই এই ব্যাকআপ প্রসেস অনেক বেশি সময় নেয় এবং উইন্ডোজ রিস্টোর করতেও অনেক সময় লাগবে। তাই হাতে সময় নিয়েই এই কাজ করতে হবে।
এবং এই ব্যাকআপ রাখার জন্য আপনার অনেক বড় সাইজের হার্ড ডিস্ক লাগবে। কারণ সব সফটওয়্যার এবং পার্সোনাল ফাইল এর সাইজ অনেক বেশি। আর আপনি যদি উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করেন তবে আমার মনে হয় আপনার উইন্ডোজ ইমেজ ব্যাকআপের তেমন দরকার নেই। কারণ আপনি এমনিতেও সব ফাইলগুলোকে ব্যাকআপ রাখতে পারেন। তাই আপনি কিভাবে উইন্ডোজ ব্যাকআপ রাখবেন পুরোটাই আপনার উপরে।
এই অপশনটিও “Backup and Restore”এ পাবেন। আমি আগেই বলেছি যে কন্ট্রোল প্যানেল থেকে এখানে যেতে হবে। “Backup and Restore” সেটিংস্এ যাওয়ার পর নিচের মত বাম পাশের “Create a system image” লেখাটিতে ক্লিক করতে হবে। এই টুলটি উইন্ডোজ ব্যাকআপ রাখার জন্য সবচেয়ে কাজের। কারণ এটি আপনার যেই ডিস্কে উইন্ডোজ ইনস্টল করা আছে সেখানের সব ফাইল, সফটওয়্যার ডাটা, পুরো উইন্ডোজ ব্যাকআপ রাখতে পারবে। তবে এর জন্য অনেক স্পেস ফাকা আছে এমন একটি হার্ড ডিস্কে ব্যাকআপ রাখতে হবে।

এর পরে আপনাকে একটি হার্ড ডিস্ক সিলেক্ট করতে বলবে। আপনার যেই হার্ড ডিস্কে বেশি স্পেস ফাকা আছে সেটি সিলেক্ট করে দিবেন। তারপরেও কাজ অনেক সহজ আপনি যদি আগে ব্যবহার করে থাকেন তাহলে ত আপনার কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু তাও যদি আপনার কোন সমস্যা হয় তাহলে টিউমেন্ট করে জানাবেন। আমি সমাধান দেয়ার চেষ্টা করব।

ওয়ানড্রাইভ(OneDrive)

যারা  উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করেন তারা সকলেই ওয়ানড্রাইভের সাথে পরিচিত। যদিও এটি কোন ব্যাকআপ সিস্টেম না। তবে আপনি চাইলেই খুব সহজে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডাটাগুলো অনলাইনে ব্যাকআপ রাখতে পারেন। আপনার যদি একটি মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে আপনি অনলাইনে ৫ জিবি ওয়ানড্রাইভ স্টোরেজ স্পেস পাবেন।
আপনি সেটিকে কাজে লাগাতে পারেন। আপনি যদি উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করেন তবে ওয়ানড্রাইভ সফটওয়্যারটি আপনার উইন্ডোজেই বিল্ট-ইন অবস্থায় আছে। আর যদি আপনি উইন্ডোজ ৭ ব্যবহার করেন তবে আপনাকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিতে হবে।

বিল্ট-ইন উইন্ডোজ রিকভারি টুলস

উইন্ডোজে যেমন অনেকগুলো ব্যাকআপ রাখার পদ্ধতি আছে তেমনি উইন্ডোজ রিকভারি করার জন্যও উইন্ডোজে অনেকগুলো টুল আছে।

সিস্টেম রিস্টোর

যখন উইন্ডোজে এমন সমস্যা হয় যে তা আর ঠিক করার মত অবস্থায় থাকে না তাহলে আপনি সিস্টেম রিস্টোর ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেন। যদিও উইন্ডোজে ডিফল্ট ভাবে প্রতি সপ্তাহে একবার সিস্টেম রিস্টোর এর জন্য একটি ফাইল তৈরি করা করা হয়। একে সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট বলে। আপনি চাইলে এখান থেকে সিস্টেম রিস্টোর করতে পারেন। আবার উইন্ডোজ যখন আপডেট নেয় তার আগেই উইন্ডোজ এরকম একটি সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট তৈরি করে নেয়।
ফলে উইন্ডোজের কোন ক্ষতি হলে উইন্ডোজ আবার ঠিক হতে পারে। তবে আপনি চাইলে নিজে থেকে এরকম রিস্টোর পয়েন্ট তৈরি করতে পারেন। এজন্য আপনাকে উইন্ডোজ সার্চ বারে “Create a restore point” লিখে সার্চ দিতে হবে। তাহলেই টুলটি পেয়ে যাবেন। এর পরে সেখান থেকে “create” বাটনে ক্লিক করে আপনি সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট তৈরি করতে পারেন।

অ্যাডভান্সড স্টার্টআপ অপশন্‌স

যদি আপনার কম্পিউটার ঠিকভাবে ওপেন না হয় বা কম্পিউটার বুট হয়ে কোন সমস্যা হয় তাহলে এই স্টার্টআপ অপশন্‌স আপনি দেখতে পাবেন। এখান থেকে আপনি উইন্ডোজের বিভিন্ন সমস্যা ঠিক করতে পারেন। তবে এ বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে। তবে এছাড়াও আপনি নিজে থেকে এই স্টার্টআপ অপশন্‌সএ যেতে পারেন।
এর জন্য আপনার উইন্ডোজ সেটিংস্‌ থেকে “Recovery” অপশনটি খুঁজে বের করতে হবে। তাহলে দেখবেন সেখানে “Restart Now” নামে একটি অপশন আছে সেখানে ক্লিক করুন তাহলে উইন্ডোজ রিস্টার্ট হয়ে আপনাকে স্টার্টআপ অপশন্‌স এ নিয়ে যাবে।

রিকভারি ড্রাইভ ক্রিয়েটর(Recovery Drive Creator)

উইন্ডোজের অনেক কাজের একটি ফিচার হল এটি। এর মাধ্যমে আপনি একটি রিকভারি ড্রাইভ তৈরি করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি উইন্ডোজে কোন ঝামেলা হলে তা ঠিক করতে পারবেন। এমনকি এর মাধ্যমে উইন্ডোজ রিস্টোর করতে পারবেন। উইন্ডোজ সার্চ বার এ সার্চ দিলেই এই টুলটি পেয়ে যাবেন।

Reset This PC

আপনি যখন আপনার কম্পিউটারে নতুন করে উইন্ডোজ দিতে চান সেটা অনেক ঝামেলার বিষয়। তাই আপনি উইন্ডোজের একটি ডিফল্ট ফিচার ব্যবহার করে খুব সহজে উইন্ডোজ পিসিকে রিসেট দিতে পারেন। এর জন্য আপনাকে উইন্ডোজ সেটিংস্‌ এর “Recovery” অপশন থেকে “Reset your pc “ অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। এর পর আপনি যদি আপনার সব ফাইল রাখতে চাল তাহলে “keep my files” অপশনটিতে ক্লিক করুন আর যদি চান জে সব ফাউল ডিলিট করে দিতে তবে নিচের অপশনটি সিলেক্ট করুন।

আজ এ পর্যন্তই। টিউন সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে তা টিউমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। আর টিউনটি কেমন লাগল তা জানতে ভুলবেন না। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৭

Samsung মোবাইল ফ্ল্যাশ দিন ঘরে বসে

  • ১মে Google.com এ সার্চ দিয়ে আপনার ফোনের স্টক রম ডাউনলোড করে নিন, যেমন : j110f এর স্টক রম সার্চ করার জন্য সার্চ বারে লিখুন samsung J110F Stock Firmware, এভাবে আপনার ফোনের মডেল অনুযায়ী ফার্মওয়ার ডাউনলোড করে নিন,
  • ২য় ধাপ: এবার স্যামসাং মোবাইল এর ড্রাইভার ডাউনলোড করে ইন্সটল করে দিন। আর ওডিন ফ্ল্যাশ টুল লেটেস্ট ভারসন টা গুগল সারচ করে নামিয়ে নিন,
  • ৩য় ধাপ: আপনার ডাউনলোড করা ফার্মওয়ার টি জিপ থেকে এক্সাক্ট্র করে আনজিপ করেন,
  • ৪র্থ ধাপ: এবার ওডিন ফ্ল্যাশ টুলসটি রান করেন এবং pda, অথবা BL ক্লিক করে আপনার ফোনের ফার্মওয়ার দেখিয়ে দিন,
  • ৫ম ধাপ : আপনার ফোন টি এবার ভলিউম ডাউন+হোম+ পাওয়ার অন করুন,পাওয়ার আপ কী চেপে কন্টিনিউ করুন,এবার আপনার ফোনটি ডাউনলোড মোডে অন হবে, এবার ভালো একটি ইউএসবি কেবল দিয়ে মোবাইল পিসির সাথে কানেক্ট করুন, ইউএসবি ড্রাইভার ঠিক মত ইনস্টল করা থাকলে ওডিন ফ্ল্যাশ টুলসে আপনার ফোন টি এড হবে আর হলুদ সাইন দেখাবে।
এবার ফ্ল্যাশ টুলসের অপশন থেকে f reset time আর rebot mark করুন। সব শেষে স্টার্ট বাটনে ক্লিক করুন। ফ্লাশিং শুরু হবে এবং শেষ হলে ফোন অটো রিবুট নিবে। এবার ফোন ইউএসবি কেবল থেকে খেলে ফোনের ভলিউম আপ+হোম+পাওয়ার অন করে factory reset দিয়ে ফোন পুনরায় চালু করুন। এবার ৫-৬ মিনিটের মধ্যে ফোন চালু হবে। যদি কেউ না বুঝেন তবে আমার ভিডিও টিউটোরিয়াল টি দেখতে পারেন।
https://youtu.be/_lpjLQlRj18

এর পর ও যদি কেউ না বুঝেন তবে টিউমেন্ট করবেন। ভালো থাকবেন সবাই। আমার জন্য দোয়া করবেন। আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন টিউটোরিয়াল নিয়ে।

মেমোরিকার্ড থেকে মুছে যাওয়া তথ্য ফিরিয়ে আনার উপায় জেনে নিন।

এখন থেকে আপনি আপনার মেমোরিকার্ড থেকে মুছে যাওয়া সকল তথ্য পুনরায় ফিরিয়ে আনতে পারবেন। তবে তা করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো-
১.http://www.piriform.com/recuva এই লিঙ্কটি থেকে রিকুভা নামের সফটওয়্যার ডাউনলোড করে আপনার পিসিতে ইনস্টল করুন।
২. সফটওয়্যারটি চালু করে প্রদর্শিত তালিকা থেকে Pictures অপশন নির্বাচন করে Next বাটনে ক্লিক করুন।
৩. এবার মুছে যাওয়া ছবি যে ফোল্ডার বা স্থানে ছিল তা নির্বাচন করে আবারও Next বাটনে ক্লিক করুন। এতে করে সফটওয়্যারটি মেমোরি কার্ড স্ক্যান করে মুছে যাওয়া JPEG ফরমেটের ছবি প্রদর্শন করবে। Switch to advanced mode বাটনে ক্লিক করে অন্যান্য ফরমেটের ছবিও খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
৪. এরপর আপনার হারানো ছবিগুলা নির্বাচন করার পরে Recover বাটনে ক্লিক করুন এবং আপনি এই ছবিগুলা কোথায় সেভ করে রাখতে চান সেটি ব্রাউজ অপশনে গিয়ে ঠিক করে দিন। এর পরপরই আপনার হারানো ছবিগুলো ওই ফাইলে ফেরত চলে আসবে।