মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬

দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য

south-korean-visa 
এশিয়াঃ দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা, ভিসিট ভিসা, বিজনেস ভিসা, জব ভিসা দিয়ে থাকে বাংলাদেশী নাগরিকদেরকে। ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সময়মত ব্যবস্থা করতে না পারলে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়। তথ্যগুলো আগে থেকে জেনে নেওয়াই ভাল। কোরিয়ান ভিসা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পাঠকদের জন্য দেওয়া হলো।
সকল ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
– ভিসার জন্য নির্ধারিত আবেদনপত্র (বড় হাতের অক্ষরে পূরণ করতে হবে)
– সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি
– পাসপোর্ট (ন্যূনতম ছয়মাস মেয়াদ থাকতে হবে)
– বৈধ পাসপোর্টের প্রথম পাঁচ পাতার ফটোকপি (বর্তমানে এমআরপি পাসপোর্টে আবেদন করাই ভালো/ইপিএস ভিসার ক্ষেত্রে এমআরপি বাধ্যতামূলক)
– কনস্যুলার বরাবর আবেদনপত্র
– ব্যাংক স্টেটমেন্ট (ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট সহ)
– এয়ার টিকেট বুকিং স্লিপ
বি দ্রঃ সকল বাংলা কাগজপত্রের ইংরেজী অনুবাদ জমা দিতে হবে।
স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আরো যা লাগবেঃ
– ১৫ মাসের মেয়াদ সহ পাসপোর্ট ও পাসপোর্টের প্রথম পাঁচ পাতার ফটোকপি
– সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি (এই ছবি আবেদন ফরমের নির্ধারিত জায়গায় লাগাতে হবে)
– ভিসার জন্য আবেদনকারীর নিজ হাতে লেখা আবেদন পত্র
– ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত ভর্তির সার্টিফিকেট (মূল কপি ও ফটোকপি)
– আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি ও ফটোকপি
– আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধন (বার্থ সার্টিফিকেট) এর মূল কপি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্বাক্ষরিত সত্যায়িত ফটোকপি
বি দ্রঃ অনেক ঝামেলা পোহাতে হয় এইটা নিয়ে। সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাউন্টারে কোন বার্থ সার্টিফিকেট জমা নেয়না। এইজন্য আগে থেকেই অন্যকোন ভাবে কাউন্টার পাস নিয়ে ভিতরে গিয়ে সত্যায়িত করতে হয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই সাথে নোটারী কপি সাথে নিয়ে যাবেন।
– সিটি কর্পোরেশন (সমমান) থেকে দেয়া ফ্যামিলি রিলেশন সার্টিফিকেট
– একাডেমিক ও অন্যান্য খরচ বহন করা হবে এই মর্মে কোন সার্টিফিকেট (সাধারণত স্কলারশীপ দাতা প্রতিষ্টান বা প্রফেসররা এইটা দিয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন স্কলারশীপ হলে কতৃপক্ষ ভর্তির সার্টিফিকেটের সাথেই এই সার্টিফিকেট পাঠিয়ে থাকে।অন্যথায় একাডেমিক ও থাকা খাওয়ার খরচ বহনের জন্য আবেদনকারীর নিজের অথবা তার অভিভাবকের অর্থনৈতিক সামর্থের প্রমানপত্র দিতে হবে)
– মাতাপিতার সম্মতিপত্র (সাধারণত ৫০ টাকার স্ট্যাম্পে)
– মাতাপিতার বাংলাদেশী পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের ফটোকপি
– পুলিশ ভেরিফিকেশন যা অবশ্যই স্বরাষ্ট্র অথবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে (এটি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেলে খুব সহজেই সত্যায়িত করা যায়)
– শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদের মূলকপি ও ফটোকপির নোটারী করাতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে (এটি প্রথমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সত্যায়িত কপি নিয়ে আবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়ে সত্যায়িত করতে হবে)

বি দ্রঃ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার আগে সকল সার্টিফিকেট সংশিষ্ট বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাউন্টারে (সচিবালয়ের ৯ নং কাউন্টার) সকালে জমা দিলে বিকেলে পাওয়া যায়। কিন্তু বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়ে সত্যায়িত করার জন্য সময় লাগবে।
বিজনেস ভিসার জন্য আরো যা লাগবেঃ
– আমন্ত্রণকৃত কোম্পানীর বিজনেস রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (কোরিয়ার ট্যাক্স অফিস থেকে ইস্যু করা হয়)
– আমন্ত্রণকৃত কোম্পানীর আমন্ত্রণপত্র ও কোরিয়া থাকা অবস্থায় সকল সাপোর্ট দিবে এমন একটি সার্টিফিকেট
– আমন্ত্রণকৃত কোম্পানীর সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক (এলসি, আমদানী চুক্তি ইত্যাদি-যদি থাকে)
– আমন্ত্রণকৃত কোম্পানীর অফিশিয়াল প্যাডে ভিসা রিকোয়েস্টিং লেটার
– আমন্ত্রণকৃত কোম্পানীর কর্পোরেট সার্টিফিকেট অথবা ট্রেড লাইসেন্স সার্টিফিকেট
– আমন্ত্রণকৃত কোম্পানীর ইনকাম ট্যাক্স সার্টিফিকেট
– আমন্ত্রণকৃত কোম্পানীর ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও যিনি আবেদন করবেন তার ব্যক্তিগত ব্যাংক স্টেটম্যান্ট (সর্বশেষ ৬ মাস)
ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আরো যা লাগবেঃ
– ভিসা রিকোয়েস্টিং লেটার
– কোরিয়ার ভ্রমণ পরিকল্পনা
– বিমান টিকেটের বুকিং স্লিপ
– হোটেল বুকিং স্লিপ/ যেখানে থাকবেন তার ঠিকানা এবং ওখানে যে থাকবেন তার প্রমাণপত্র
– ব্যক্তিগত অথবা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক স্টেটমেন্ট (সর্বশেষ ছয় মাস)
– আবেদনকারীর প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক সনদপত্র অথবা ট্রেড লাইসেন্স (যদি থাকে)
– আবেদনকারীর ইনকাম ট্যাক্স সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
– আবেদনকারীর প্রতিষ্ঠান থেকে কাজে নিয়োগের ইপ্লয়মেন্ট সার্টিফিকেট
– আমন্ত্রণপত্র এবং কোরিয়ায় সাপোর্ট সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
ইপিএস ভিসাঃ
ইপিএস ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বোয়েসেল সরবরাহ করবে এবং বোয়েসেল পুরো বিষয়টি তদারকি করে। সেক্ষেত্রে ইপিএস ভিসার আবেদনকারীগণ বোয়েসেলের নির্দেশনা মেনে চললেই হবে।
কোরিয়ান দূতাবাসের সময়সূচিঃ
কর্মদিবসঃ রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার
আবেদনপত্র গ্রহণঃ ৯টা-সাড়ে ১২টা
ডেলিভারি প্রদানঃ ৯টা-সাড়ে ১২টা এবং ২টা-৫টা
সাধারণত সাত দিনেই ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন হয়। তবে বিভিন্ন কারণে দেরিও হতে পারে। ভিসা সেকশন থেকে ডেলিভারী নেওয়ার জন্য ফোন করা হয়।
ভিসা ফিঃ সিংগেল (৯০ দিন পর্যন্ত) – ৩০ ডলারের সমপরিমাণ টাকা
সিংগেল (৯০ দিনের বেশি) – ৫০ ডলারের সমপরিমাণ টাকা
মাল্টিপল – ৮০ ডলারের সমপরিমাণ টাকা
কোরিয়ান দূতাবাসে ফোন/ইমেইল করে জেনে নিতে পারেন বিস্তারিতঃ
ঠিকানাঃ
বাসা নং ৪, মাদানী এভিনিউ, বারিধারা, ঢাকা। (আমেরিকান দূতাবাসের উত্তর পশ্চিম কোণে)
ফোন : (০২)৮৮১২০৮৮-৯০
ফ্যাক্স : (০২)৮৮২৩৮৭১
ইমেইলঃ embdhaka@mofat.go.kr অথবা consuldhaka@mofat.go.kr (ভিসা সেকশন )

ফ্রিতে কল করুন যেকোন মোবাইল নাম্বারে ইন্টারনেটে

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালো। অনেকদিন পর টিউন করতে বসলাম। আসলে আজকাল তেমন সময় পাইনা। আমি হঠাত করে দারূণ একটি এন্ড্রয়েড এপের সন্ধান পেলাম যা খুব উপকারি। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আজ আমি আপনাদের এমন একটি এপ উপহার দিব যা পেয়ে আপনাদের মন খুশিতে নাচতে থাকবে। এখন থেকে ফ্রি কল করতে পারবেন যেকুন মোবাইল নাম্বারে। ইন্টারনেট থেকেই কল করা যাবে। আপনি এপটি ডাউনলোড করে মোবাইল নাম্বার দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করুন। তাহলে পাবেন ৪০ক্রেডিট=২০মিনিট যা দিয়ে আপনি যেকুন নাম্বারে কথা বলতে পারবেন। ক্রেডিট শেষ হলে চিন্তা নেই ফ্রি ক্রেডিট ইয়ার্ণ করতে পারবেন। বেশি কথা বলবনা। আপনি নিজেই দেখুন।
এপটির বৈশিষ্ঠঃ
1. গ্রুপ মেসেজিং করতে পারবেন।
2. এন্ড্রয়েডের নতুন ভার্সন মাশ্ম্যালোতেও ভালো কাজ করবে।
3. কলের মান এবং ক্ষমতা অনেক ভালো
4. এন্ড্রয়েড এবং আইওএস এও ভালো কল হয়।
5. ফিক্সেড ডায়েল-প্যাড।
6. ফিক্সড রেফারাল বোনাস পয়েন্ট।
7. ফিক্সড মেসেজিং অন্য যে কুন ফোণ।
8. মাইক্রোফোন ইসসু এছাড়াও আরোও অনেক কিছু যা আপনারা নিজেরাই দেখে নিয়েন।
এপটির কয়েকটি স্কিনশট নিচে দেয়া হলঃ
প্রথমে এপটিতে ডুকলেই নিচের ছবির মত আসবে যেখানে ভাষা নির্বাচন করতে বলা হবে। আপনি যে ভাষাটি ভালো বোঝেন সিটি নির্বাচন করুন। যেহেতু বাংলা ভাষা নেই সেহেতু ইংলিশ দিতে পারেন
ভাষা নির্বাচন হয়ে গেলে ফোন নাম্বার চাইবে নিচের ছবির মত আপনি যে নাম্বার দিয়ে একাউন্ট করতে চান সেটা দিয়ে দিন। সেই ফন নাম্বার যদি আপনার ফোনেই থাকে তাহলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে একাউন ভেরিফাই হয়ে যাবে। আর যদি অন্য মোবাইলে থাকে তাহলে মেসেজে একটা কোড যাবে সেটি সাবমিট করতে হবে
তারপর আপনাকে লিংগ নির্বাচন করতে বলা হবে নিচের ছবির মত যে আপনি নারি না পুরুষ
তারপ্র বলা হবে আপনার পেশা কি নিচের ছবির মত। আমি যেহেতু এখনও শিক্ষার্থী তাই আমি অটাই দিয়েছি। আপনি যা করেন তাই দিবেন।
তারপার আপনার বয়স নির্বাচন করতে হবে। বয়স নির্বাচন হয়ে গেলে ডায়েল-প্যাড আসবে আর আপনি কল করতে পারবে। আশা করি সবাই বুঝতে পেড়েছেরেছেএই এপটি এর আগে কেউ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছে কিনা জানিনা। তবে আমি প্রথম শেয়ার করছি। কারো প্রয়োজন মনে হলে ডাউনলোড করতে পারেন।
Software Name: Nanu-free calls for everyone.Apk
অলে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে এখানে যান
প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে কুন সমস্যা হলে এপটি নিচে থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।
Download: Nanu-free calls for everyone